আজকের এই পোস্টে সকলকে দুর্গাপূজা শুভেচ্ছা। সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আজকের পোস্ট টি আমরা শুরু করতে যাচ্ছি। পূজা হলো হিন্দু ধর্মাবলি যারা আছে তাদের জন্য সবচেয়ে বড় উৎসব এ উৎসবে তারা অনেক আনন্দ উল্লাস করে থাকে ।
সকলকে দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা, আজকের এই নিবন্ধে আমরা দুর্গা পূজার স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। আপনি যদি দুর্গাপূজার স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন অনলাইনে অনুসন্ধান করেন তাহলে এই পোস্ট টি তে আপনাকে স্বাগতম। তো চলুন দেখে নেয়া যাক দুর্গাপূজা নিয়ে ক্যাপশন।
দূর্গা পূজার ক্যাপশন
হিন্দু ধর্মে বৎসরে তেরোটি পূজা হয়ে থাকে । এর মধ্যে শারদীয় দুর্গাপূজা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। এজন্য দুর্গাপূজায় মন টা অনেক আনন্দে ভরে উঠে ।বড় বড় মনীষীরা বলে গিয়েছেন.., আমি বস্তুর পূজা করি না আমি বস্তুর স্রষ্টার পূজা করি যিনি আমার জন্য বস্তু হয়েছিলেন । তো.., চলুন দেখে নেয়া যাক দুর্গাপূজা নিয়ে ক্যাপশন ।
>পূজা পবিত্র প্রত্যাশায় শুরু হয়, এটি পবিত্র শেষ হয় । এর মাঝে কোন অপবিত্রতা থাকে না।
>বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা ।
> দুর্গাপূজা শরৎকালের হয় বলে একে শারদীয়া দুর্গাপূজাও বলা হয় ।
>পূজার কেন্দ্রীয় দিক হলো ঈশ্বরের সঙ্গে এক হওয়ার অনুভূতি।
>পূজা আপনার শরীরের ভঙ্গি নিয়ে নয়, পূজা আপনার হৃদয়ের ভঙ্গি সম্পর্কে।
>সুন্দরের পূজা করা আর নিজের জীবনকে সুন্দরের প্রকাশ ঘটানো। দুটো ভিন্ন জিনিষ।
>সত্তিকারের পূজা সেই ব্যক্তিদের থেকে আসে, যারা গভীরভাবে আবেগ প্রবন ও সঠিক মতবাদ পছন্দ করে ।
>কান্নাকাটি অবশ্যই পূজায় বাধা সৃষ্টি করবে না ।
>তিনি ঈশ্বরের পূজা করেন যিনি তাকে চেনেন ।
>বাশি ফুল এবং অপবিত্র মন দিয়ে যে পূজা দেওয়া হয় তার কোন মূল্য নেই।
>সত্য ও সুন্দরের জয় হবেই,. সত্য পথে থাকা ও সুন্দরের পূজা করো ।
> ছোট বড় সবাই চোখের জলে মাকে বিদায় জানিয়ে পরের বছরের অপেক্ষায় দিন গুনতে শুরু করে ।
>সব নারীই যে মায়ের রুপ এই বিশ্বাসে অষ্টমীর দিন কুমারী পূজা করা হয়।
>নবমীর রাত থেকে শুরু হয়ে যায় দেবী দুর্গার বিদায়ের প্রস্তুতি। সন্ধিপুজা হয় অষ্টমী ও নবমী তিথির সন্ধিস্থলে।
দুর্গাপূজা নিয়ে কিছু কথা
>> যতই অবিশ্বাস মনে হোক না কেন., একজন অসুখী মানুষ বুঝতে পারে না যে সুখ-দুঃখের চেয়ে ভালো। শুধুমাত্র তার নিজের লুকিয়ে থাকা যন্ত্রণা জেনে তিনি এর পূজা করেন যা আত্মপূজা সমান ।
>> যে বাঙালি শস্য-শ্যামলা বঙ্গভূমির ধানএক্ষেত্রে পীঠস্থানে জ্ঞানে পূজা, কৃষাণ দিগকে পূজার পুরোহিত এবং কৃষি গ্রন্থকে প্রজার তন্ত্র বলিয়া সম্মান না করিল , সে বীরবলের যুদ্ধ প্রপৌত্র হতে পারে ,বাঙালি নহে ।
>> মহালয়া থেকে দেবীপক্ষের সূচনা হয়। দেবী দুর্গার দশ হাত, প্রত্যেক হাতে রয়েছে অস্ত্র । দেবী দুর্গাকে শক্তি প্রতিরূপ রূপে পূজা করা হয়।
>> পৌরাণিক কথা অনুযায়ী দেবরাজ ইন্দ্র ও মহিষাসুরের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধলে দেবতারা পরাজয়ের সম্মুখীন হতে থাকেন, সেইসময় মহিষাসুরের দমন করার জন্য দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে ।
>> ভিন্ন ভিন্ন প্যান্ডেলে দেবী দুর্গার মূর্তি এবং নানা ধরনের আলোকসজ্জা, গান, মানুষের ভিড়, নিত্য মনের আনন্দ কে আলাদা অনুভূতি এনে দেয় ।
>> মহা নবমী থেকেই শুরু হয়ে যায় মন খারাপের পালা.., ঘরের মেয়ের ফিরে যাবার সময় হয়ে এলো। নবমীর রাতের পর থেকেই আনন্দ মিলে মিশে যায় বিদায়ের সুরে ।
>> দুর্গা পূজা প্রথম কবে শুরু হয়েছিল তা না জানা গেলেও দুর্গাপূজার ইতিহাস বহু পূর্বের। হিন্দু পুরাণে দুর্গাপূজার কেন্দ্রিক বিভিন্ন তথ্য আছে যার মধ্যে রাজা সুরথ হারানো রাজ্য ফিরে পেতে বসন্তকালে দেবী দুর্গার পূজা করেন বলে জানা যায়।
দুর্গাপূজা নিয়ে স্ট্যাটাস
> সত্তিকারের পূজা তখনই আসে যখন আমরা আমাদের চোখ বন্ধ করতে শিখি এবং শুধুমাত্র তার দিকে মনোনিবেশ করি এবং তাকে নিয়েই ভাবতে থাকি ।
> কৃপণ ব্যক্তি ধন-সম্পদের পূজারী.., আর উদার দাতা ব্যক্তিকে ধন-সম্পদ পূজা করতে বাধ্য হয়। যার শক্তি আছে তার শত্রুও আছে, শত্রুতা হচ্ছে সত্যি পূজার নৈবেদ্য ।
> আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষে বাঙালি শারদ উৎসবে মেতে ওঠে। শুক্লপক্ষের ষষ্ঠ দিন ষষ্ঠী থেকে দশম দিন অর্থাৎ দশমী পর্যন্ত দেবীর আরাধনা চলে।
> বিশ্বের প্রায় প্রতিটা প্রান্তেই বাঙ্গালিরা এই উৎসবকে কেন্দ্র করে আনন্দে মেতে ওঠে। প্রবাসী বাঙ্গালিরাও দুর্গাপূজার আয়োজন করে থাকে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ত্রিপুরা বাংলাদেশেও দুর্গোৎসবের দিনগুলিতে সরকারি ছুটি থাকে।
শরতের আকাশে ভেজা তুলোর মতো মেঘ!
সারি সারি কাশফুল.., শিউলি ফুলের গন্ধে__
পদ্মের গোলাপি আভা আকাশে বাতাসে..,
দেবী দুর্গার আগমনের বার্তা নিয়ে আসে ।