বছর শেষে আবার এল শারদীয় দুর্গাপূজা । দুর্গাপূজা কয়েকদিন কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে জীবন হয় আরো সুন্দর। শাস্ত্রে বছরে 4 টি দিন জন্মাষ্টমী, রামনবমী, শিবরাত্রি ও দুর্গা অষ্টমী তে অন্য গ্রহণ নিষিদ্ধ বলে জানানো হয়।দুর্গা অষ্টমী দুর্গা অষ্টমীতে অন্য গ্রহণ করিলে সহস্ত্র বৎসর নরক এ পরিনত হয় ।
আমাদের আরও একটি পোস্টে আপনাদের স্বাগতম । আপনারা অনেকেই আছেন যারা দূর্গা পূজা সম্পর্কে নানা ধরনের তথ্য খুঁজে থাকেন। তাই আজকের এই পোস্টটি তে আমরা নিয়ে এসেছি দূর্গা পূজা সম্পর্কে না জানা তথ্য গুলো । আশাকরি তথ্যগুলো আপনাদের অনেক ভালো লাগবে এবং কাজে আসবে । তো চলুন দেখে নেয়া যাক দূর্গা পূজা সম্পর্কে না জানা তথ্য ।
দূর্গা পূজা সম্পর্কে না জানা তথ্য
1: নিত্য গঙ্গা স্নান করুন । কারণ, গঙ্গা স্নানে শরীর ও মন শুদ্ধ হয় । গঙ্গা নিকটে না থাকলে গঙ্গার জল মাথায় নিয়ে তিনবার গঙ্গা নাম উচ্চারণ ।
2: নিত্য 108 বার দুর্গা নাম পড়ুন । এই নাম স্মরণ করলে সকল বিপদ আপদ দূর হয় ।
3: ষষ্ঠী থেকে নবমী পর্যন্ত নিরামিষ আহার করুন । তবে দেবীর ভোগ আমিষ হলে এই নিয়ম মানতে হবে না ।
4: ষষ্ঠীর দিন সকালে সন্তানের সুস্থ জীবন ও মঙ্গল কামনায় ষষ্ঠী দেবীর পুজো দিন । এবং সন্তানের কপালে দই হলুদ এর ফোটা দিয়ে সন্তানের দীর্ঘজীবী ও মঙ্গল কামনা করুন ।
5: দুর্গা অষ্টমী দুর্গা অষ্টমীতে অন্য গ্রহণ করিলে সহস্ত্র বৎসর নরক এ পরিনত হয় । তবে দেবীর ভোগ অন্য হলে এই নিয়ম গ্রহণযোগ্য নয়দুর্গা অষ্টমী দুর্গা অষ্টমীতে অন্য গ্রহণ করিলে সহস্ত্র বৎসর নরক এ পরিনত হয় ।
6: এই সময় নারী-পুরুষের দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন নিষিদ্ধ বলা হয়েছে।
7: সপ্তমী ও অষ্টমী তিথিতে পুষ্পাঞ্জলি দিতে না পারলেও সন্ধি পূজার সময় অবশ্যই পুষ্পাঞ্জলী দিন।
8: দশমীর সন্ধ্যায় গুরুজনদের প্রণাম করে আশীর্বাদ নিন । এবং সামান্য সিদ্ধি শরবত পান করুন। তাহলে সারা বছরের কাজে সিদ্ধিলাভ হবে ।
দূর্গা পূজার ইতিহাস /দুর্গাপূজা নিয়ে কিছু কথা
হিন্দু ধর্মে বৎসরে তেরোটি পূজা হয়ে থাকে । এর মধ্যে শারদীয় দুর্গাপূজা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। এজন্য দুর্গাপূজায় মন টা অনেক আনন্দে ভরে উঠে ।
> দুর্গা পূজা প্রথম কবে শুরু হয়েছিল তা না জানা গেলেও দুর্গাপূজার ইতিহাস বহু পূর্বের। হিন্দু পুরাণে দুর্গাপূজার কেন্দ্রিক বিভিন্ন তথ্য আছে যার মধ্যে রাজা সুরথ হারানো রাজ্য ফিরে পেতে বসন্তকালে দেবী দুর্গার পূজা করেন বলে জানা যায়।
> মহালয়া থেকে দেবীপক্ষের সূচনা হয়। দেবী দুর্গার দশ হাত, প্রত্যেক হাতে রয়েছে অস্ত্র । দেবী দুর্গাকে শক্তি প্রতিরূপ রূপে পূজা করা হয়।
> পৌরাণিক কথা অনুযায়ী দেবরাজ ইন্দ্র ও মহিষাসুরের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধলে দেবতারা পরাজয়ের সম্মুখীন হতে থাকেন, সেইসময় মহিষাসুরের দমন করার জন্য দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে ।
> ভিন্ন ভিন্ন প্যান্ডেলে দেবী দুর্গার মূর্তি এবং নানা ধরনের আলোকসজ্জা, গান, মানুষের ভিড়, নিত্য মনের আনন্দ কে আলাদা অনুভূতি এনে দেয় ।
> যতই অবিশ্বাস মনে হোক না কেন., একজন অসুখী মানুষ বুঝতে পারে না যে সুখ-দুঃখের চেয়ে ভালো। শুধুমাত্র তার নিজের লুকিয়ে থাকা যন্ত্রণা জেনে তিনি এর পূজা করেন যা আত্মপূজা সমান ।
> মহা নবমী থেকেই শুরু হয়ে যায় মন খারাপের পালা.., ঘরের মেয়ের ফিরে যাবার সময় হয়ে এলো। নবমীর রাতের পর থেকেই আনন্দ মিলে মিশে যায় বিদায়ের সুরে ।
> যে বাঙালি শস্য-শ্যামলা বঙ্গভূমির ধান এক্ষেত্রে পীঠস্থানে জ্ঞানে পূজা, কৃষাণ দিগকে পূজার পুরোহিত এবং কৃষি গ্রন্থকে প্রজার তন্ত্র বলিয়া সম্মান না করিল , সে বীরবলের যুদ্ধ প্রপৌত্র হতে পারে ,বাঙালি নহে ।
>বড় বড় মনীষীরা বলে গিয়েছেন.., আমি বস্তুর পূজা করি না আমি বস্তুর স্রষ্টার পূজা করি যিনি আমার জন্য বস্তু হয়েছিলেন ।
শেষ কথা: আশা করি আজকের এই পোষ্ট টি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন । আর আপনি চাইলে আমাদের অন্যান্য পোস্টগুলো দেখে আসতে পারেন । ধন্যবাদ_