কাশফুল নিয়ে ক্যাপশন

কাশফুল কে ভালোবেসে ভরাই আমার মন, আমার মতো এমন ভালবাসবে আর কয় জন?__আকাশ থেকে মুখ নামিয়ে মাটির দিকে শুয়ে_ দেখি ভোরের বাতাসে কাশ দুলছে মাটি ছুঁয়ে। কাশফুলের সাথে আমি একাই কথা বলি কেননা কাশফুল গুলো সব ছন্নছাড়া। কাশফুল দেখতে চোখ ধাঁধানো সুন্দর । কাশফুল বা কাশবন পছন্দ করে না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় না ।

তো চলুন দেখে নেয়া যাক: কাশফুল নিয়ে ক্যাপশন ।

কিছু অনুভূতি লিখে প্রকাশ করা যায় না, থেকে যায় একাকিত্বের আড়ালে থেকে যায়! নীরবতায়। প্রকৃতির মাঝে নবীন সাজে লুকিয়ে এসেছে শরৎ। এনেছে কাশফুলের রাজ, আজকের ঋতু শরৎ প্রকৃতির এক অনন্য সুন্দরের নাম হলো কাশফুল বা কাশবন । কাশফুল প্রকৃতির দেওয়া এক অনন্য উপহার ।

কাশফুল নিয়ে ক্যাপশন

বিশেষ করে বিকেল বেলায় কাশফুল দেখতে অনেক সুন্দর লাগে । কাশফুল মানেই শরৎকাল কে আরো আকর্ষিত করে তোলা। কাশফুল হলো শরতের একটি সুন্দর কাল। কাশফুল মানেই শরতের সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করা। কাশফুল দেখতে অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর ।কাশফুলের সাদার শুভ্রতায় মন চায় হারিয়ে যাই অজানায়। শরতের দিনে চলো কাশফুল কুড়ায়, কাশফুল পেলে মনে হয় স্বর্ণ খুঁজে পাই।কাশফুল কে ভালোবেসে একবার কাছে টেনে নাও। দেখবে তোমার সব দুঃখ-কষ্ট এক নিমেষেই পুড়ে ছাই ।

>> কাশফুল হলো পৃথিবীর গহনা_ সে গহনা কে পরিধান করেই এই পৃথিবী এত সুন্দর।
>> নদীর দু’ধারে কাশফুল হয়ে ওঠে সাদা তোমায় দেখতে নেই কোনো বাধা।

>> সাদা রঙের কাশ দিল আজ ছুটি কাশফুল সব আজ মহুয়ায় বন্ধি।
>> কাশফুল যেমন ক্ষণস্থায়ী _তেমনি করে আমাদের জীবন বেশ ক্ষণস্থায়ী।

>> সাদা শুভ্রতার কাশফুল জানান দেয় আজ বুঝি ফিরে এল শরৎ।
>> চলনা প্রিয় ভেঙে দেই সব আড়ি, আজ আছি কাল নাও থাকতে পারি ।

>> জীবন যৌবন পার হলেও কাশফুলের রুপ অপরিবর্তিত হয়ে থাকে।
>> ওগো,! তোমার ছোঁয়া পেলে কাশফুল যেন নতুন রূপে সজ্জিত হয়ে ওঠে ।

>> প্রকৃতি তার আপন নিয়মে ছুটে কাশফুল তবে এল আজ ফিরে।
>> কাশফুল চাই। এনে দিতে পারবে তুমি? না এনে দিলে তোমার সাথে আমার আড়ি।

>> প্রিয় !কাশফুলের পরোতে পরোতে গাঁথা আছে তোমার ওই নাম।
>> কাশফুলের এই সুবাসে আমি বিমোহিত হই_ ওহে কাশফুল! এত গন্ধ তুমি পাও কই?

কাশফুল নিয়ে ক্যাপশন ও ছন্দ

> কাশফুলের মায়ায় ধরে রেখো আমায়_ আর কোনদিনও ছেড়ে যাবো না আমি তোমায় ।

> ক্ষেতের আলে নদীর কূলে পুকুরের ওই পাড় টাই_ হঠাৎ দেখি কাশ ফুটেছে বাঁশ বনের ওই ধার টাই।

> কাশফুলের শুভ্রতায় ভরিয়ে রেখো আমায়_ তাহলে আর কখনো ছেরে যাব না তোমায় ।

> কাশফুল ! ও কাশফুল! কোথায় যাও তুমি?_ তোমাকে দেখার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে আমার এই জন্মভূমি ।

> কাশফুল কে সাক্ষী রেখে বলতে চাই খুব_ আমি তোমার, তুমি আমার হয়েই পার করব এই যুগ।

> ভালোবাসা কাব্য শুনে কাশ ঝরেছে যেই_দেখি আমার শরত রানী কাশবনে আর নেই।

> কাশফুল কে ভালবেসে ভরাও আমার মন_ আমার মত ভাল বাসবে তোমায় আর কোন জন?

> কাশফুলের এই শুভ্রতা দিগ্বিদিকে ছড়িয়ে যাক_ ফাটল ধরা দুঃখ যত ঘুঁচে যাক মুক্তি পাক।

> শরৎ রানী যেন কাশ এর বোরখা খানি খুলে_ কাশবনের ওই আড়াল থেকে নাচসে দুলে দুলে।

কাশফুল নিয়ে প্রেমের কবিতা

ভেবেছিলাম প্রথম যেদিন ফুটবে তোমায় দেখবো _
তোমার পুষ্প বনের গাঁথা মনের মত লিখব।
তখন কালো কাজল মেঘ তো ব্যস্ত ছিল ছুটতে_
ভেবেছিলাম কদিন আরো যাবে তোমার ফুটতে।

সবে তো এই বর্ষা গেল শরৎ এলো মাত্র_
এরই মধ্যে শুভ্রর কাশে ভরলো তোমার গাত্র।
ক্ষেতের আলে নদীর কূলে পুকুরের ওই পাড় টাই_
হঠাৎ দেখি কাশ ফুটেছে বাঁশ বনের ওই ধার টাই।

আকাশ থেকে মুখ নামিয়ে মাটির দিকে শুয়ে_
দেখি ভোরের বাতাসে কাশ দুলছে মাটি ছুঁয়ে।
কিন্তু কখন ফুটেছে তা কেউ পারে না বলতে_
সবাই শুধু থমকে দাঁড়ায় গাঁয়ের পথে চলতে।

উচ্চ দোলা পাখির মতো কাশবনে এক কন্যে_
তুলছে কাশ এর ময়ূর চূড়া কালো খোপার জন্য।
শরৎ রানী যেন কাশ এর বোরখা খানি খুলে_
কাশবনের ওই আড়াল থেকে নাচসে দুলে দুলে।

প্রথম কবে ফুটেছে কাশ সেই শুধুরা জানে_
তাইতো সেটা সবার আগে খোঁপায় বেঁধে আনে।
ইচ্ছে করে ডেকে বলি, “ওগো কাশের মেয়ে_
আজকে আমার চোখ জুড়ালো তোমার দেখা পেয়ে।

তোমার হাতে বন্দী আমার ভালোবাসার কাশ_
তাইতো আমি এই শহরে তোমার কৃত দাস।