Tips

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম

ভোটার আইডি কার্ড হল মানুষের পরিচয় বহন করে ।একটি মানুষের পরিচয় বের করা যায় এই ভোটার আইডি কার্ডের মাধ্যমে । এজন্য ভোটার আইডি কার্ডের গুরুত্ব অত্যধিক । আপনাদের এই ভোটার আইডি কার্ডের মাঝে অনেক সময় পিতা মাতা , নিজের নাম অথবা জন্মতারিখ ভুল হয়ে থাকে। অনেকেই এ বিষয়ে খুবই চিন্তিত থাকে ।

কিন্তু চিন্তার কোন কারণ নেই আমি আজ দেখিয়ে দিব এই সবকিছু ঠিক করতে হয় কিভাবে । তো চলুন দেখে নেয়া যাক  ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে সংশোধন করা যায় ।আর সংশোধন করতে কি কি প্রয়োজন হবে তা নিচে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করা হলো ।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম

ভোটার আইডি কার্ডের যদি নিজের নাম, পিতা মাতার নাম অথবা জন্ম তারিখ কোথাও কোন ভুল থেকে থাকে তাহলে আপনাকে যা করতে হবে _ উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে সংশোধনের আবেদন দাখিল করতে হবে । এই ভোটার আইডি কার্ড দুইভাবে সংশোধন করা যায় ।

প্রথমতঃ সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন এর  ফরম-2 সংগ্রহ করে তা পূরণ করতে হবে। ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ফি আপনাকে বিকাশ/রকেট এর মাধ্যমে জমা দিতে হবে। এবং এই ফি জমা দেওয়ার যে রশিদ টি আপনার হাতে দেওয়া হবে তা আপনার ওই ফরম এর পিছনে পিন-আপ করে জমা দিলে সংশোধনের কাজ শুরু হবে।

দ্বিতীয়তঃ অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড এর আবেদন দাখিল করা যায় । প্রথমত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি রেজিস্ট্রেশন করে লগইন করবেন ।

লগইন করার পর আপনি আপনার ছবি, নাম, পিতার নাম, মাতার নাম জন্ম তারিখ সহ দেখতে পারবেন। এবং এগুলো সংশোধন করার পর আপনি আবেদন করবেন ।এগুলো কিন্তু আপনি চাইলে আপনার ঘরে বসে আপনার হাতের স্মার্টফোনটি দিয়ে খুব সহজেই করে নিতে পারবেন । এতে করে আপনার মূল্যবান সময়টুকু বেঁচে গেল । আর আপনার বাড়তি কোনো হয়রানি হতে হলো না ।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে যা যা লাগে

⊕ এসএসসি সার্টিফিকেট _আবেদনকারীর এসএসসি/সমান সার্টিফিকেটের ফটোকপি আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে । অথবা অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধ এর আবেদন করার সময় ছবি তুলে বা স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।

জন্ম নিবন্ধন সনদ _আবেদনকারীর অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে । (এটা সবার জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে)

⊕ আপনার যদি শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট না থাকে এবং যদি বিবাহিত হন তাহলে আপনাকে যা করতে হবে।

>অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি (বাধ্যতামূলক)।

>স্বামী/স্ত্রী ভোটার আইডি কার্ডের কপি (যদি থাকে)।

>কাবিননামা সনদ (যদি থাকে)।

>সার্ভিস বই/এমপিও শীট এর কপি (চাকরিজীবী)।

>সন্তানদের ভোটার আইডি কার্ডের কপি অথবা শিক্ষা সনদ অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ (যদি থাকে)।

>পৌর মেয়র/চেয়ারম্যান এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যায়নপত্র ইত্যাদি।(একেকজনের ক্ষেত্রে এক একটা প্রয়োজন)।

আর আপনি যদি বিবাহিত না হন ,তাহলে একটু ভালভাবে লক্ষ করবেন এবং সেখানে দেখতে পাবেন কাগজপত্রে আপনার নাম সঠিক করে লেখা আছে। আর যেসব কাগজপত্র আবেদনের ফরমের সাথে জমা দিবেন।

যদি নামের পদবী পরিবর্তন করতে চান তাহলে যা লাগবে

  1. অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ (বাধ্যতামূলক)।
  2. ড্রাইভিং লাইসেন্স এর কপি (যদি থাকে)।
  3. পাসপোর্ট এর কপি (যদি থাকে)।
  4. কাবিননামা সনদ ( যদি থাকে)।
  5. এসএসসি সনদ (যদি থাকে)।
  6. স্বামী-স্ত্রীর ভোটার আইডি কার্ডের কপি (যদি থাকে)।
  7. পৌর মেয়র/চেয়ারম্যান এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যায়নপত্র ইত্যাদি।(যার যেটা প্রয়োজন)।

>উপরোক্ত কাগজপত্রের মধ্যে যে কাগজপত্রগুলো আপনার কাছে আছে আবেদনের প্রাথমিক অবস্থায় সেগুলো জমা দিবেন।

>আপনার দাখিলকৃত আবেদন অনুমোদন হলে বা বাতিল হলে বা আরো অন্যান্য কাগজপত্র প্রয়োজন হলে আবেদনের সময় সরবরাহকৃত মোবাইল নম্বরে মেসেজ করে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

>ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সম্পর্কে  যে পরামর্শটি দিয়েছি এটাই সঠিক । এরপরেও যদি আপনার কোন ধরনের কোন সমস্যা থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর লেখা টি ভাল লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *