Tips

রোজা ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কি কি

আসসালামু আলাইকুম_ আজকের এই পোস্টটিতে আপনারা জানতে চলেছেন রোজা ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কি কি। ইসলামে রোজা রাখার বিধান আল্লাহ তাআলা ফরজ করে দিয়েছেন তাই রোজা রাখা প্রত্যেকটা নর-নারীর উপর ফরজ। এই ফরজ রোজা রাখার পর যেন কোন ভাবে ছুটে না যায় বা, ভঙ্গ হয়ে না যায় সে সম্পর্কে খেয়াল রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই আজকের এই পোস্টটিতে আপনারা জানতে চলেছেন রোজা ভঙ্গের কারণ কয়টি ও কি কি

রোজা ভঙ্গের কারণ কয়টি

রোজা রাখার বিধান আল্লাহ তায়ালা ফরজ বলে ঘোষণা করে দিয়েছেন। তাই রোজা রাখার পর সতর্কভাবে খেয়াল রাখতে হবে রোজা যেন কোনোভাবেই নষ্ট হয়ে না যায়। আপনি যদি রোজা ভঙ্গের কারণ গুলো না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্যই। কেননা আজকের এই পোস্টটিতে আপনারা রোজা ভঙ্গের কারণগুলো জেনে যাবেন।

** রোজা ভঙ্গের কারণ ১৮ টি। আপনাদের যাতে বুঝতে সুবিধা হয় সে কারণে রোজা ভঙ্গের কারণ গুলো নিচে সুন্দরভাবে তুলে ধরছি।

** ইসলামে পাঁচটি স্তম্ভ রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম একটি হলো রোজা। প্রাপ্তবয়স্ক প্রত্যেক মুসলমানের উপর আল্লাহ তায়ালা রোজা ফরজ করেছেন।

রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ

রোজা ভঙ্গের কারণসমূহ আমরা সুন্দরভাবে তুলে ধরছি কেননা একজন রোজাদার ব্যক্তির রোজা ভঙ্গের কারণসমূহ জেনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাই আর দেরি না করে চলুন দেখে নেয়া যাক রোজা ভঙ্গের কারণ গুলো।

১. ভুলক্রমে কোন প্রকার খাবার খেলে বা, রোজা ভেঙে গেছে একথা মনে করে ইচ্ছাকৃত ভাবে পুনরায় খাবার খেলে।
২. কাঁচা কোন খাদ্যদ্রব্য এমন কিছু খেলে। যেমন, কাচা ডাল, আটার খামির ইত্যাদি
৩. মাদকদ্রব্য যেমন বিড়ি সিগারেট ইত্যাদি খেলে।

৪. বৃষ্টি বা বরফের টুকরো খাদ্যনালীর ভেতরে চলে গেলে রোজা ভেঙে যায়।
৫. খাদ্য জাতীয় খাবার না কিন্তু তা খেয়ে ফেললে এবং খাদ্যনালী থেকে পেটের ভেতর প্রবেশ করলে।
৬. পাথর, কাদামাটি, তুলা সুতা, কাগজ ইত্যাদি গিলে ফেললে।

৭. থুতু বের করে আবার তা গিলে ফেললে।
৮. নাক কান দিয়ে কোন প্রকার তরল ঔষধ দিলে।
৯. দাঁত দিয়ে রক্ত বের হলে এবং তা যদি থুতুর চেয়ে পরিমাণে বেশি হয় তাহলে রোজা ভেঙে যাবে।

১০. হ*স্ত*মৈথুন করিলে।
১১. স্ত্রী*সহবাস করলে।
১২. রাত ধারণা করে স্ত্রী*সহবাসে লিপ্ত হলে।

১৩. কাউকে জোর জবরদস্তি করে পানাহার করালে তার রোজা ভেঙে যাবে।
১৪. রোজা আছি মনে থাকার পরও কুলি কিংবা নাকে পানি দেওয়ার সময় কণ্ঠনালীতে পানি চলে গেলে।
১৫. ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করা বা বমি করার পর তা আবার গিলে ফেলা।

১৬. রাত মনে করে সুবহে সাদিকের পর সেহরি খেলে।
১৭. সূর্যাস্ত হয়ে গেছে মনে করে ভুলে দিনে ইফতার করিলে।
১৮. মুখের ভেতর কোন প্রকার খাদ্যদ্রব্য রেখে ঘুমিয়ে পড়লে।

রোজা ভঙ্গের কারণ কী কী

একজন রোজাদার ব্যক্তি রোজা ভঙ্গের কারণ গুলো কি কি তা জেনে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই একজন রোজাদার ব্যক্তির কথা চিন্তা করে আমরা রোজাদার ব্যক্তির রোজা ভঙ্গ হওয়ার কারণ কি কি সে সম্পর্কে উপরে সুন্দরভাবে তুলে ধরছি। আপনি যদি রোজা ভঙ্গের কারণ কি কি না জেনে থাকেন তাহলে উপরে দেওয়া ১৮ টি রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ দেখে নিতে পারেন।

মেয়েদের রোজা ভঙ্গের কারণ

মেয়েদের রোজা ভঙ্গের কারণ : মেয়েদের ঋতু*স্রাবের সময় নামাজ পড়া, রোজা রাখা, কোরআন তেলাওয়াত করা ও মসজিদে প্রবেশ করা নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু, তারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ বা নির্দিষ্ট ইবাদতের সময় হলে পবিত্রতা অর্জন করে দোয়া দুরুদ পড়তে পারবে।

রক্ত বের হলে কি রোজা ভাঙ্গে

রক্ত..! রক্ত বের হলে কি রোজা ভেঙে যায়? এ প্রশ্নটি আপনারা ভিন্ন ভিন্ন ওয়েবসাইটে অনুসন্ধান করছেন কিন্তু সঠিক কোন তথ্য পাচ্ছেন না।

** বলা আছে রক্ত বের হলে রোজা ভেঙে যায় কিন্তু, এর মাঝে কয়েকটি ধাপ রয়েছে যেমন দাঁত থেকে রক্ত বের হলে এবং সে রক্তের পরিমাণ যদি থুতুর চেয়ে বেশি হয় তাহলে রোজা ভেঙে যাবে।

বমি করলে কি রোজা ভেঙে যায়

যদি কোন কারণ ব্যতীত বা ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করে থাকেন এবং সে বমি যদি আবার গিলে ফেলেন তাহলে রোজা ভেঙে যায়। অর্থাৎ, ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করলে এবং সে বমি যদি গিলে ফেলা হয় তাহলে রোজা ভেঙে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *