Tips

দেব দেবীর পূজা করা হয় কেন

আপনারা অনেকেই আছেন যারা দেব-দেবীর পূজা করা হয় কেন এই প্রশ্ন নিয়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সার্চ করে থাকেন । কিন্তু সঠিক উত্তরটি পান না আজকের এই পোস্টটিতে আপনারা জানতে চলেছেন দেব দেবীর পূজা করা হয় কেন । আমি আশা করি আজকের এই পোস্ট টি পড়ে আপনার না জানা তথ্য অতি সহজেই খুজে পাবেন । তো চলুন দেখে নেয়া যাক দেব দেবীর পূজা করা হয় কেন ?

পূজা কেন করা হয়

পুজা হল কোন ধর্মীয় তিথি চিল করার জন্য নয় ।পূজা নিজেকে বিনয়ী করার জন্য,নিজের ভক্তি কে বাড়ানোর জন্য।পূজা শাস্ত্র নিষিদ্ধ খাবার খেয়ে, নেশা করে,অবৈধ সঙ্গ করে নিজেকে অপবিত্র করার জন্য নয়,পূজা অপবিত্রতা ত্যাগ করে নিজেকে পবিত্র করার জন্য। এবং নিজের মনকে আত্মশুদ্ধি করার জন্য ।পূজা আরাধনা বাদ দিয়ে শহরে গিয়ে আলোর ঝলকানি আর সাউন্ড বক্সের সাউন্ডে হার্ট কাপোনোর জন্য নয়, পূজা আরাধনা করে হৃদয়ে নিজ আরাধ্যের প্রতি ভক্তি বাড়ানোর জন্য।

আর ভক্তি পরমেশ্বর পরমাত্মা শ্রীকৃষ্ণ কে হার্টে স্থায়ী ভাবে প্রতিস্থাপন করার জন্য। পূজা মানুষ কে আরো একবার মানুষ করে নিজের ধর্মের ধর্মীয় রীতিনীতি নিষ্ঠার সহিত পালন করে নিজেকে শুদ্ধ ধার্মিকে পরিনত করে। দেব-দেবীত্বে উন্নতি করার জন্য।তাই আসুন যদি আমরা সনাতনী হয়ে থাকি তাহলে অন্তত পূজা বা বিশেষ ধর্মীয় তিথিতে আমরা শাস্ত্র বিরুদ্ধ অধর্ম গুলো আগে ত্যাগ করি।

দেব দেবীর পূজা করা হয় কেন ?

মানুষের মন স্বভাবতই চঞ্চল। পার্থিব জগতের আমাদের এই চঞ্চল মন নানা কামনা-বাসনা দিয়েই আবদ্ধ । আমরা চাইলে এই কামনা-বাসনা বা কোন কিছু পাবার আকাঙ্ক্ষা থেকে মুক্ত হতে পারি না ।মনে করুন, একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনে বাসনা থাকে পরীক্ষায় তার প্রথম স্থান অধিকার করা । এজন্য সে বিদ্যার দেবী মা সরস্বতীর আরাধনা করে ।

তীব্র গতির এমন কে সংযত করা স্থির করার ব্যবস্থা করা হয় এই শকুন ঈশ্বরের বিভিন্ন রূপ এর মাধ্যমে । মনে রাখতে হবে আমরা কখনো ঈশ্বরের বিশালতাকে আমাদের এই সসীম চিন্তা দিয়ে বুঝতে পারবো না ।বরং সর্ব গুণময় ঈশ্বরের কয়েকটি বিশেষ গুণ কে বুঝতে পারব । আর এরকম এক একটি গুণ কে বুঝতে বুঝতে হয়তো কোনদিন সেই সর্ব গুনময়কেউ বুঝতে পারব ।

ধরুন জ্যামিতির ক্ষেত্রে আমরা কোন কিছু বিন্দু দিয়ে শুরু করি কিন্তু বিন্দুর সংজ্ঞা হল: যার দৈর্ঘ্য,প্রস্থ ও বেধ কিছুই নেই কিন্তু অবস্থিতি আছে । যা আসলে কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়, অথচ এই বিন্দু কে কেন্দ্র করে প্রশান্ত মহাসাগর এর গভীরতা থেকে হিমালয়ের উচ্চতা সব মেপে বের করতে পারছি ।

আবার ধরুন, দেয়ালে ম্যাপ টানিয়ে বলি এটা লন্ডন, এটা আমেরিকা, এটা দুবাই, এটা ঢাকা কিন্তু ওই ম্যাপ কি আসলেই পৃথিবী  । অথচ এই গুলোই দেখে আমরা পৃথিবীর চিনি । ঠিক তেমনি মূর্তির রূপ কল্পনা বা প্রতিমা স্বয়ং ওই সকল দেবতার প্রতীক চিহ্ন বা রুপ । এগুলো রূপকল্প হতে পারে কিন্তু তা মনকে স্থির করতে সাহায্য করে এবং ঈশ্বরের বিভিন্ন গুণ সম্পর্কে ধারণা দেয় ।

হিন্দু ধর্মে পুজা একটি বৈশিষ্ট্য, কল্পনায় দাঁড়িয়ে সত্য উত্তরনি পূজার সার্থকতা । হিন্দু ধর্মে ঈশ্বর নিরাকার, ও সা-আকার উভয় রূপে উপাসনা বিদ্যমান নিরাকার ঈশ্বরের কোন প্রতিমা নেই ,থাকার সম্ভব নেই  । যারা ঈশ্বরের নিরাকার উপাসনা করেন তাদের কে বলে নিরাকার বাদী ।আর যারা ঈশ্বরের সা-আকারের ওপর উপাসনা করে তারা সা-আকার বাদি ।

শেষ কথা : আশা করি আমাদের দেওয়া তথ্যগুলো আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে ।  আজ এই পর্যন্তই ।ধন্যবাদ_

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *