Tips

ফরজ গোসলের নিয়ম

ফরজ গোসল ইসলামী জীবন বিধায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা কারো উপর গোসল ফরজ হয়ে গেলে পবিত্রতা অর্জন করার আগ পর্যন্ত কোন প্রকার এবাদত বন্দেগিরই করা অনুমতি নেই।

এ কারণেই সব সময় পবিত্রতা থাকা প্রত্যেকটা মানুষের জন্য জরুরী। তাই আজকের এই পোস্টটিতে আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি ফরজ গোসলের নিয়ম সম্পর্কিত সকল তথ্য নিয়ে তো চলুন আর দেরি না করে দেখে নেওয়া যাক ফরজ গোসলের নিয়ম।

ফরজ গোসল নিয়ম

ফরজ গোসল একমাত্র ওই গোসল কেই বলা হয় যা একজন মানুষের উপর অপরিহার্য। একজন মানুষ কোন কারনে অর্থাৎ, স্বামী-স্ত্রীর মিলন হলে গোসল ফরজ হয়।

আপনি যদি ফরজ গোসলের সঠিক নিয়ম না জেনে থাকেন তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। কেননা আজকের এই পোস্টটিতে ফরজ গোসলের নিয়ম সম্পর্কিত সকল তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি। তাই পোস্টটি মনযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন তাহলেই জানতে পারবেন ফরজ গোসল করার নিয়ম।

ফরজ গোসল করার সকল নিয়ম ও দোয়া নিয়ে আজকের এই পোস্টটি সাজানো হয়েছে। তো চলুন দেখে নেওয়া যাক ফরজ গোসল করার নিয়ম কয়টি ও ফরজ গোসলের দোয়া।

ফরজ গোসলের নিয়ম কয়টি

ফরজ গোসলের মোট নিয়ম হল তিনটি। এই তিনটি ফরজের যেকোনো একটি যদি বাদ পড়ে যায় তাহলে ফরজ গোসল হবে না। তাই ফরজ গোসলের সময় অবশ্যই খুবই ভালোভাবে এবং সতর্কতার সাথে ফরজ গোসল আদায় করতে হবে।

ফরজ গোসলের তিনটি ফরজ নিয়ম:

1.গড়গড়ার সাথে কুলি করা। অর্থাৎ, হলকের শেষ অংশ পর্যন্ত কুলি করা।

2. নাকে পানি দেওয়া। অর্থাৎ, নাকে নরম অংশ পর্যন্ত আঙ্গুল দ্বারা ভেজানো।

3. সারা দেহ পানি দিয়ে ভালোভাবে গোসল করা। অর্থাৎ, সমস্ত দেহ সুন্দরভাবে ধৌত করা যাতে এক ফোটা লোমও শুকনা না থাকে।

একজন মুসলিমের জন্য নামাজ পড়া বাধ্যতামূল। এই নামাজ পড়তে হলে শরীর পাক, কাপড় পাক ও জায়গা পাক হওয়া বাধ্যতামূলক। তাই শরীরকে পবিত্র রাখতে হলে ফরজের গোসল সম্পর্কে অবশ্যই প্রত্যেকটা মুসলমান নর-নারীর জানা থাকা আবশ্যক।

ফরজ গোসলের নিয়ম ও দোয়া

ফরজ গোসল আদায়ের জন্য নির্দিষ্টভাবে কোন দোয়া নেই। বরঞ্চ গোসল করার জন্য মনে মনে নিয়ত করলেই হয়ে যাবে। এতে কোন প্রকার আরবি শব্দ বা কোন দোয়া পড়ার নির্দিষ্ট কোন বিধান নেই বরঞ্চ এতে বিদআত হয়।

1. গোসলের জন্য মনে মনে নিয়ত করা। এতে কোন প্রকার মুখ থেকে আরবি শব্দ উচ্চারণ করে নিয়ত করা বিদআত।

2. প্রথমে দুই হাত কব্জি পর্যন্ত তিনবার ধুতে হবে।

3. এরপর ডান হাতে পানি নিয়ে বাম হাত দিয়ে লজ্জাস্থান এবং আশপাশ ভালো করে ধুতে হবে। শরীরের অন্য কোন জায়গায় বীর্য বা নাপাকি লেগে থাকলে সেটাও অনেক ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।

4. এবার বাম হাতকে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।

5. এবার ওযুর নিয়মের মতো করে অজু করতে হবে, কিন্তু দু পা ধোয়া যাবেনা।

6. ওযু শেষ করে মাথায় তিনবার পানি ঢালতে হবে।

7. এবার সমস্ত শরীর ধোয়ার জন্য প্রথমে তিনবার ডানে তারপর তিনবার বামে পানি ঢেলে ভালোভাবে ধুতে হবে, যেন শরীরের কোন অংশ বা কোন লোম শুকনো না থাকে।

8. সবার শেষে একটু অন্য জায়গায় সরে গিয়ে দুই পা তিনবার ভালোভাবে ওজুর মত করে ধুতে হবে।

আবশ্যক মনে রাখতে হবে:

1. পুরুষদের দাড়ি ও মাথার চুল এবং মহিলাদের চুল ভালোভাবে ভিজতে হবে।

2. এই নিয়মে গোসলের পর নতুন করে আর ওজুর করার দরকার নেই। যদি অজু না ভাঙ্গে।

শেষ কথা: আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রত্যেকটা মানুষকে পাক-পবিত্র হয়ে থাকার তৌফিক দান করুক। এবং প্রত্যেকটা মানুষকে সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করুক।(আমিন)

One Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *