নামাজের ফরজ কয়টি

আসসালামু আলাইকুম আমাদের আরও একটি পোস্টে আপনাদের স্বাগতম। আজকের এই পোস্টটিতে আপনারা জানতে চলেছেন নামাজের ভিতরে এবং বাহিরে ফরজ কয়টি ও কি কি। তাই আর দেরি না করে চলুন দেখে নেওয়া যাক নামাজের ফরজ কয়টি ও কি কি।

নামাজের ফরজ কয়টি

আপনি যদি নামাজের ফরজ কয়টি তা না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই পোষ্ট টি আপনার জন্যই। কেননা আজকের এই পোস্টটিতে আপনি জানতে পারবেন নামাজের ভিতরে এবং বাহিরে মোট কতটি ফরজ রয়েছে। তাই পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন তাহলেই জানতে পারবেন নামাজের ভিতরে এবং বাহিরে মোট কতটি ফরজ রয়েছে।

নামাজের মধ্যে মোট ফরজ রয়েছে তেরোটি। নামাজ হলো ইসলামের মধ্যে অন্যতম একটি ইবাদত। যা মুসলমানদের জন্য ফরজ করা হয়েছে। ইসলামের পাঁচটি রুকনের মধ্য দ্বিতীয় রোকন হল নামাজ। তাই প্রত্যেক মুসলমানদের জন্য নামাজ পড়া অতীব গুরুত্বপূর্ণ।মহান আল্লাহ পাক তাঁর বান্দাদেরকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁর ইবাদতের উদ্দেশ্যে। তো চলুন দেখে নেয়া যাক নামাজের ফরজ কয়টি ও কি কি।

নামাজের ফরজ কয়টি ও কি কি

নামাজের মধ্যে মোট ফরজ রয়েছে 13টি। এরমধ্য নামাজের ভিতরে রয়েছে 6 টি ফরজ। আর নামাজের বাহিরে রয়েছে 7 টি ফরজ।

নামাজের ভিতরের 6 টি ফরজ সমূহ:

1. নাম্বার: তাকবিরে তাহরিমা বলা। (অর্থাৎ, নামাজ শুরু করার সময় আল্লাহু আকবার বলা)

2. নাম্বার: ফরজ ও ওয়াজিব নামাজ দাঁড়িয়ে আদায় করা। (অর্থাৎ, নামাজের জন্য সোজা হয়ে দাঁড়ানো)

3. নাম্বার: কেরাত পাঠ করা। (অর্থাৎ, কোরআন শরীফ থেকে ন্যূনতম ছোট তিন আয়াত ও বড় 1 আয়াত  পাঠ করা)

4. নাম্বার: রুকু করা। (প্রত্যেক রাকাতে রুকু করা ফরজ, রুকু এমনভাবে হতে হবে যেন দুহাত হাঁটু পর্যন্ত পৌঁছে যায় মাথা এবং পিঠের সমান্তরালে চলে আসে)

5. নাম্বার: দুই সিজদা দেয়া। (প্রতি রাকাতে দুটি সিজদা করা ফরজ সিজদার সময় নাক ও কপাল মাটিতে রাখা)

6. নাম্বার: শেষ বৈঠক নামাজের শেষে তাশাহুদ পরিমাণ বসা। ( অর্থাৎ, নামাজের শেষ রাকাতে সিজদার পর তাশাহুদ পড়তে যতটুকু সময় লাগে ততটুকু পরিমাণ সময় বসা)

ঈমানের পরে সবচে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নামাজ। নামাজ সকল মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। নামাজ হল সর্বোত্তম ইবাদত এবং এটি মনে শান্তি এনে দেয়। নামাজ পড়লে অন্তরে শান্তি পাওয়া যায় এটাই সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব নামাজের ভিতরে।

সালাতের ফরজ কয়টি

নামাজের মোট ফরজ 13 টি। এরমধ্য নামাজের ভিতরে রয়েছে 6 টি ফরজ। আর নামাজের বাহিরে রয়েছে 7 টি ফরজ।

নামাজের বাহিরে 7 টি ফরজ সমূহ:

1. নাম্বার: শরীর পাক। (অর্থাৎ, শরীর পাক পবিত্র রাখা)

2. নাম্বার: কাপড় পাক। (অর্থাৎ, জামা কাপড় পবিত্র রাখা)

3. নাম্বার: নামাজের জায়গা পাক পবিত্র হওয়া। (অর্থাৎ, আপনি যে জায়গায় দাঁড়িয়ে নামাজ পড়বেন সেই জায়গা পবিত্র হওয়া)

4. নাম্বার: সতর ঢাকা। ( অর্থাৎ পুরুষের ক্ষেত্রে নাভি থেকে হাটুর নীচ পর্যন্ত। এবং নারীদের ক্ষেত্রে চেহারা, দুই হাতের কবজি এবং পায়ের পাতা পর্যন্ত ঢেকে দিতে হবে। এ কথা মাথায় রাখতে হবে যে নারীদের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ শরীর সতরের অন্তর্ভুক্ত)

5. নাম্বার: কিবলামুখী হওয়া। ( অর্থাৎ, কেবলার দিক করে নামাজে দাঁড়াতে হবে)

6. নাম্বার: ওয়াক্ত মত নামাজ আদায় করা। (অর্থাৎ, নির্দিষ্ট সময়ের ভেতর নামাজ আদায় করা)

7. নাম্বার: নির্দিষ্ট নামাজের জন্য অন্তরে নিয়ত করা। (অর্থাৎ, নামাজের জন্য অন্তরে নিয়ত করতে হবে)

নামাজ পড়ুন এবং মহান আল্লাহকে ভালোবাসেন দেখবেন আপনার সকল আশা পূর্ণ করে দিয়েছেন আল্লাহ পাক। জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল সৃষ্টিকর্তার হুকুম পালন করা তা ছাড়া এ জীবনে কোনো উদ্দেশ্য নয়। জন্ম-মৃত্যুর মাঝে মানুষের সময়ই বা কতটুকু এই সময়ের মধ্যে মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিনের উদ্দেশ্যে ইবাদত করতে হবে আমাদের।

নামাজের ফরজ কয়টি কি কি

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলাম- (হে আল্লাহর রাসূল!) আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয় আমল কোনটি? রাসুলুল্লাহ সাঃ বললেন, নামাজ । (বুখারী ও মুসলিম)

নামাজের প্রতি যত্নবান হওয়া মুমিন মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও ফরজ ইবাদত। নামাজি ব্যক্তি হলো প্রকৃত সফল, যার স্পষ্ট বর্ণনা দিয়েছেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ তিনি বলেছেন-যে ব্যক্তি নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে, কেয়ামতের দিন ওই নামাজ তার জন্য নুর হবে এবং হিসেবের সময় নামাজ তার জন্য দলিল হবে এবং নামায তার জন্য নাজাতের কারণ হবে।

আমরা যারা মুসলিম রয়েছি সকলেরই জন্য নামাজকে আল্লাহ তাআলা ফরজ করে দিয়েছেন। তাই আমাদের অবশ্যই প্রত্যেকেরই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সঠিকভাবে এবং সুন্দর ভাবে আদায় করা করা উচিত।আপনি যদি আপনার মনের শান্তি চান তাহলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ুন। বিপদ আপদ বালা মুসিবত থেকে দূর করার একমাত্র উপায় হলো নামাজ।

Leave a Comment